বরগুনার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের আসামি গ্রেফতার

 বরগুনার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের আসামি  গ্রেফতার

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী র‍্যাব-৮,সিপিসি-১ এর অভিযানে ১৪ মে আনুমানিক রাত ২.৩০ মিনিটের সময় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বরগুনা জেলার বেতাগী থানায় গনধর্ষন মামলার আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

১৪ মে সকাল ১১ টার সময় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পটুয়াখালী র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক সোহেব আহম্মেদ বলেন,গত ২৭ এপ্রিল বরগুনা জেলার বেতাগী থানাধীন ০১ মে ২০১৯ ইং তারিখ একটি গনধর্ষনের মামলা হয় যার নং-১. ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) রুজু হয়।

ঘটনার পর থেকে র‍্যাব-৮ আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা অভিযান ও ছায়াতদন্ত শুরু করে এরই ধারাবহিকতায় পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ অভিযানিক দল ১৪ মে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গনধর্ষন মামলার পলাতক আসামি মোঃ আলমগীর (৩৫),পিতাঃ মৃতঃ কাদের মুসল্লি,কে দোফলাখালী মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী থেকে রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিটের সময় গ্রেফতার করে।

প্রেস ব্রিপিং এ র‍্যাব-৮ আরো বলেন, মামলা সুত্রে গত ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখ উক্ত মামলার ভিকটিম(১৮),রাত আনুমানিক ৮ টার সময় তার চাচাতো ভাই মোঃ মানিক ও চাচা মোঃ চাঁন মিয়া শিকদারকে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে গান গাওয়ার জন্য মহেশপুরের উদ্দেশ্য যাওয়ার পথে আনুমানিক রাত ৮.২০ মিনিটের সময় বেতাগী থানাধীন বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজের দক্ষিন পাশে পুর্ব দিক থেকে ওতপেতে থাকা মোঃ মানিক (৩৫) ও মোঃ আলমগীর হোসেন তাদের মোটর সাইকেল গতিরোধ করে।তাৎক্ষণিক আসামি দুই জন ভিকটিমের চাচা ও চাচাতো ভাইকে আঘাত করলে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর আসামি দুইজন ভিকটিমকে জোর পুর্বক তাদের মোটর সাইকেলে তুলে পুটিয়াখালী সুইজগেট এর উওর পাশে বাগানে টেনে নিয়ে যায়। উক্ত আসামি মানিক ও আলমগীর হোসেন দুজনে পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। এবং একপর্যায়ে চাচা ও চাচাতো ভাই অন্যান্যদের সহযোগিতায় ভিকটিমকে খুজতে খুজতে ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং ভিকটিম নিজ মুখে সবার কাছে বলেন পালাক্রমে মানিক ও আলমগীর হোসেন তাকে ধর্ষন করে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর চাচাতো ভাই মোঃ মানিক বাদী হয়ে গত, ০১ মে বেতাগী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।যার মামলা নং-১, ০১/০৫/২০১৯,ধারা – নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ইং এর ৯(৩) রুজু হয়।

র‍্যাব-৮ আরো বলেন বর্তমানে ধর্ষন সংক্রান্ত ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ধর্ষনের পর পরই সমাজের কিছু শ্রেনীর মানুষ জোর পুর্বক মীমাংসা অথবা মামলা না করার জন্য বল প্রয়োগ করে থাকে যা কখবোই কাম্য নয়।এধরনের বিষয় আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধ পরিকর।ভবিষ্যতে র‍্যাবের এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।